উজুর ফজিলত
এক. গোসলের মাধ্যমে
দুই. ওজুর মাধ্যমে
বড় নাপাকী তথা, স্ত্রী সহবাস, স্বপ্নদোষ, বা যে কোনভাবে বীর্যপাত ঘটলে গোসল করে পবিত্রতা হাসিল করতে হয়।
আর ছোট নাপাকী যেমন, প্রস্রাব, পায়খানা বায়ু ত্যাগ করলে ওজু করে পবিত্রতা হাসিল করতে হয়।
ওজুর ফরয চারটিঃ
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেনঃ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন ধৌত করে নিবে নিজেদের মুখমণ্ডল এবং হাত কনুই পর্যন্ত আর মাস্হ করে নিবে নিজেদের মস্তক এবং ধৌত করে নিবে নিজেদের পা গ্রন্থি পর্যন্ত।
{সূরা মায়িদাহ, আয়াতঃ ৬}
উক্ত আয়াতে কারীমা থেকে জানা গেল ওজুর ফরয ৪টি যথাঃ
১। সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা
২। উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত করা
৩। মাথা মাসেহ করা
৪। টাখনু পর্যন্ত উভয় পা ধৌত করা
হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতে চাও তখন ধৌত করে নিবে নিজেদের মুখমণ্ডল এবং হাত কনুই পর্যন্ত আর মাস্হ করে নিবে নিজেদের মস্তক এবং ধৌত করে নিবে নিজেদের পা গ্রন্থি পর্যন্ত।
{সূরা মায়িদাহ, আয়াতঃ ৬}
উক্ত আয়াতে কারীমা থেকে জানা গেল ওজুর ফরয ৪টি যথাঃ
১। সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা
২। উভয় হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত করা
৩। মাথা মাসেহ করা
৪। টাখনু পর্যন্ত উভয় পা ধৌত করা
পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেকঃ
আবূ মালেক আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “(বাহ্যিক) পবিত্রতা অর্জন করা হল অর্ধেক ঈমান ।”
{মুসলিম, হাঃ ২২৩, তিরমিযী, হাঃ ৩৫১৭, ইবনে মাজাহ, হাঃ ২৮০, আহমাদ, হাঃ ২২৩৯৫}
{মুসলিম, হাঃ ২২৩, তিরমিযী, হাঃ ৩৫১৭, ইবনে মাজাহ, হাঃ ২৮০, আহমাদ, হাঃ ২২৩৯৫}
পবিত্রতা ছাড়া নামায হবে নাঃ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তির হাদাস হয় তার সালাত কবুল হবে না, যতক্ষণ না সে উযূ করে। হাযরা-মাওতের জনৈক ব্যক্তি বললো, ‘হে আবূ হুরাইরা! হাদাস কী? হাদাস কী?’ তিনি বললেন, ‘নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু বের হওয়া।’
{বুখারী, হাঃ ১৩৫ মুসলিম, হাঃ ২২৫, আহমাদ, হাঃ ৮০৮৪}
{বুখারী, হাঃ ১৩৫ মুসলিম, হাঃ ২২৫, আহমাদ, হাঃ ৮০৮৪}
কিয়ামতের ময়দানে ওজুর স্হানগুলো থেকে নূর চমকাবেঃ
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “নিশ্চয় আমার উম্মতকে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় ডাকা হবে, যে সময় তাদের ওযূর অঙ্গগুলো চমকাতে থাকবে । সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে তার চমক বাড়াতে চায়, সে যেন তা করে ।” (অর্থাৎ সে যেন তার ওযূর সীমার অতিরিক্ত অংশও ধুয়ে ফেলে ।)
{বুখারী ১৩৬, মুসলিম ২৪৬, ইবনু মাজাহ ৪৩০৬, আহমাদ ৮২০৮}
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “(পরকালে) মু’মিনের অলংকার ততদূর হবে, যতদূর তার ওযূর (পানি) পৌঁছবে।”
{মুসলিম ২৫০, নাসায়ী ১৪৯, আহমাদ ৭১২৬}
{বুখারী ১৩৬, মুসলিম ২৪৬, ইবনু মাজাহ ৪৩০৬, আহমাদ ৮২০৮}
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার বন্ধু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, “(পরকালে) মু’মিনের অলংকার ততদূর হবে, যতদূর তার ওযূর (পানি) পৌঁছবে।”
{মুসলিম ২৫০, নাসায়ী ১৪৯, আহমাদ ৭১২৬}
ওজুর পানিতে পাপ সমূহ ধুয়ে যায়ঃ
উসমান ইবনে ‘আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযূ করবে, তার পাপসমূহ তার দেহ থেকে বেরিয়ে যাবে । এমনকি তার নখগুলোর নিচে থেকেও (পাপ) বেরিয়ে যাবে ।”
{বুখারী ২৪৫, আহমাদ ৪৭৪}
উসমান ইবনে ‘আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে আমার এই ওযূর মত ওযূ করতে দেখলাম । অতঃপর তিনি বললেন, “যে ব্যক্তি এরূপ ওযূ করবে, তার পূর্বকৃত পাপরাশি মাফ করা হবে এবং তার নামায ও মসজিদের দিকে চলার সওয়াব অতিরিক্ত হবে ।”
{বুখারী ১৬০, ১৬৪, ১৯৩৪, ৬৪৩৩, মুসলিম ২২৯}
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুসলিম কিংবা মুমিন বান্দাহ যখন ওযূ করবে এবং যখন সে নিজ মুখমণ্ডল ধৌত করবে, তখন তার মুখমণ্ডল হতে সেই গোনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যাবে, যে সব গোনাহ তার দু’টি চোখ দিয়ে দেখার ফলে সংঘটিত হয়েছিল । (অনুরূপভাবে) যখন সে নিজ হাত দু’টি ধোবে, তখন তা হতে সে সব পাপ পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে নির্গত হয়ে যাবে, যে সব পাপ তার দুই হাত দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল । আর যখন সে নিজ পা দু’টি ধৌত করবে, তখন তার পা দু’টি হতে সে সমস্ত পাপরাশি পানির সঙ্গে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে বের হয়ে যাবে, যেগুলি তার দু’টি পায়ে চলার ফলে সংঘটিত হয়েছিল । শেষ পর্যন্ত সে গোনাহ সমূহ হতে পবিত্র হয়ে বেরিয়ে আসবে ।
{মুসলিম ২৪৪, তিরমিযী ২, আহমাদ ৭৯৬০}
{বুখারী ২৪৫, আহমাদ ৪৭৪}
উসমান ইবনে ‘আফ্ফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে আমার এই ওযূর মত ওযূ করতে দেখলাম । অতঃপর তিনি বললেন, “যে ব্যক্তি এরূপ ওযূ করবে, তার পূর্বকৃত পাপরাশি মাফ করা হবে এবং তার নামায ও মসজিদের দিকে চলার সওয়াব অতিরিক্ত হবে ।”
{বুখারী ১৬০, ১৬৪, ১৯৩৪, ৬৪৩৩, মুসলিম ২২৯}
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মুসলিম কিংবা মুমিন বান্দাহ যখন ওযূ করবে এবং যখন সে নিজ মুখমণ্ডল ধৌত করবে, তখন তার মুখমণ্ডল হতে সেই গোনাহ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে বের হয়ে যাবে, যে সব গোনাহ তার দু’টি চোখ দিয়ে দেখার ফলে সংঘটিত হয়েছিল । (অনুরূপভাবে) যখন সে নিজ হাত দু’টি ধোবে, তখন তা হতে সে সব পাপ পানির সাথে বা পানির শেষ বিন্দুর সাথে নির্গত হয়ে যাবে, যে সব পাপ তার দুই হাত দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল । আর যখন সে নিজ পা দু’টি ধৌত করবে, তখন তার পা দু’টি হতে সে সমস্ত পাপরাশি পানির সঙ্গে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সঙ্গে বের হয়ে যাবে, যেগুলি তার দু’টি পায়ে চলার ফলে সংঘটিত হয়েছিল । শেষ পর্যন্ত সে গোনাহ সমূহ হতে পবিত্র হয়ে বেরিয়ে আসবে ।
{মুসলিম ২৪৪, তিরমিযী ২, আহমাদ ৭৯৬০}