তারাবীহ নামায ৮ রাকাআতের পক্ষে একটি দলীলের পর্যালোচনা

তারাবীহ নামায ৮ রাকাআতের পক্ষে একটি দলীলের পর্যালোচনা


তারাবীহ নামায ৮ রাকাআত দাবীদারদের দলীলের পর্যালোচনাঃ


আবূ সালামা ইবনু ‘আবদুর রাহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি ‘আায়িশা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেন যে, রমযানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত কিরূপ ছিল?

তিনি বললেন, রমযান মাসে ও রমযান ছাড়া অন্য সময়ে (রাতে) তিনি এগারো রাক‘আত হতে বৃদ্ধি করতেন না।

তিনি চার রাকআত সালাত আদায় করতেন, সে চার রাকআতের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য ছিল প্রশ্নাতীত।

এরপর চার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন, সে চার রাকআতের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য ছিল প্রশ্নাতীত।

এরপর তিন রাকআত সালাত আদায় করতেন। আমি [‘আয়িশা (রাঃ)] বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি বিতর আদায়ের আগে ঘুমিয়ে যাবেন? তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশা! আমার দু'চোখ ঘুমায় বটে কিন্তু আমার কালব নিদ্রাভিভূত হয় না।

[বুখারী শরীফঃ হাঃ ১৮৮৬]

উক্ত হাদীসটি দিয়ে দলীল পেশ করে আহলে হাদীসগণ তারাবীহর নামায ৮ রাকাআত প্রমাণ করতে চান। অথচ উক্ত হাদীসে রাসূল সাঃ এর তাহাজ্জুদ নামাজের বর্ণনা পেশ করা হয়েছে তা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট।

যদি তর্কের খাতিরে মেনে নেয়া হয় যে উক্ত হাদীসটি দ্বারা তারাবিহর নামায ৮ রাকাআত সাব্যস্ত হয় তাহলে কিছু প্রশ্নের জবাব দিন?

১ নং প্রশ্নঃ

উক্ত হাদীসে আয়েশা রাঃ বলেছেন, রাসূল সাঃ রমজান এবং রমজান ছাড়া সবসময় ১১ রাকাআত নামায আদায় করতেন।

তাহলে আপনারা কিভাবে এটাকে শুধু রমজানের সাথে নির্দিষ্ট করে নিলেন? রমজানের বাইরে উক্ত নামায আদায় করেন না কেন?

২ নং প্রশ্নঃ

উক্ত হাদীস থেকে জানা যায় রাসূল সাঃ ৪ রাকাআত করে ৮ রাকাআত উক্ত নামায আদায় করেছেন।

তাহলে আপনারা কেন ২ রাকাআত করে আদায় করেন? এক সালামে ৪ রাকাআত আদায় করেন না কেন?

৩ নং প্রশ্নঃ

উক্ত হাদীস থেকে জানা যায় রাসূল সাঃ উক্ত নামায একাকী আদায় করেছেন।

তাহলে আপনারা কেন উক্ত নামায জামাআতের সাথে আদায় করেন? একাকী আদায় করেন না কেন?

৪ নং প্রশ্নঃ

রাসূল সাঃ যেহেতু রমজানের বাইরেও উক্ত নামায আদায় করেছেন।

তাহলে আপনারা কেন রমজানের বাইরেও উক্ত ৮ রাকাআত নামায জামাআতের সাথে আদায় করেন না?

৫ নং প্রশ্নঃ

উক্ত হাদীসে কোথাও বলা হয়নি যে, রাসূল সাঃ উক্ত নামায আদায়কালীন কোরআন খতম করেছেন।

তাহলে আপনারা কেন উক্ত ৮ রাকাআত নামায আদায়কালীন কোরআন খতম করে থাকেন?

৬ নং প্রশ্নঃ

উক্ত ৮ রাকাআত নামায আদায়কালীন শুধু রমজানে কোরআন খতম করেন কিন্তু অন্য মাসগুলোতে উক্ত নামায আদায় করেন না এবং কোরআন খতম করেন না কেন?

৭ নং প্রশ্নঃ

উক্ত হাদীসের শেষের অংশ থেকে বুঝা যায় রাসূল সাঃ বিতর নামায আদায়ের পূর্বে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিতেন তারপর বিতর নামায আদায় করতেন।

তাহলে আপনারা তারাবীহ নামায পড়ার পরপরই না ঘুমিয়ে বিতর নামায আদায় করেন কেন?

৮ নং প্রশ্নঃ

উক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায় রাসূল সাঃ বিতর নামায জামাআতের সাথে আদায় করতেন না বরং একাকী আদায় করতেন।

তাহলে আপনারা কেন তারাবীহ নামায আদায় করে বিতর নামায জামাআতের সাথে আদায় করেন?

এখন ভেবে দেখুনতো উক্ত হাদীস অনুযায়ী আপনাদের নামায সহীহ কি না?

প্রশ্নগুলোর জবাব সম্পূর্ণ কোরআন এবং হাদীস থেকে দিতে হবে কারো তাকলীদ গ্রহণযোগ্য হবে না। দলীল ছাড়া কোন যুক্তি গ্রহণ করা হবে না।

পারলে জবাব দিয়েন অপেক্ষায় রইলাম ইনশাআল্লাহ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url